এসইও কি? কিভাবে একজন ভালো ও দক্ষ SEO এক্সপার্ট হওয়া যায়?

এসইও কি? কিভাবে একজন ভালো ও দক্ষ SEO এক্সপার্ট হওয়া যায়?

এসইও (SEO) হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্কিং বা প্রচারণার ক্ষেত্রে সাহায্য করা হয়। একজন ভালো ও দক্ষ এসইও (SEO) এক্সপার্ট হওয়ার জন্য, আপনাকে এসইওর (SEO) বিভিন্ন নিয়ম, প্রয়োগ, এর ফাংশনিং, সার্চ ইঞ্জিনের বিভিন্ন এলগরিদম, কিওয়ার্ড রিসার্চ, অন-পেজ অপ্টিমাইজেশন, অফ-পেজ অপ্টিমাইজেশন, লিংক বিল্ডিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ইত্যাদি বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারনা থাকা প্রয়োজন।

এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, টিউটোরিয়াল, ব্লগ এবং ফোরাম এর সাহায্য নিতে পারেন।

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে এসইওর মার্কেট ভ্যালু প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, তাই আপনি এটিকে আয়ত্ত্ব করে ওয়েবসাইট ব্লগিং, অনলাইন অফলাইন জব ও এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি ভালো এমাউন্টের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা এসইও এর এমন কিছু খুটিনাটি বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করবো যা আপনার এসইও শেখার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখছি। 

যা থাকছে আজকের আর্টিকেলে

  • এসইও কি? (What is SEO?)
  • এসইও এর প্রকারভেদ (Types of SEO)
  • এসইও টার্ম (SEO terms)
  • পেইড এসইও ও অর্গানিক এসইও এর ধারণা (Concept of Paid and Organic SEO)
  • কেন এসইওতে দক্ষ হবেন? (Why be proficient in SEO?)
  • একজন এসইও এক্সপার্ট হতে হলে কী কী করা প্রয়োজন (What to do to become an SEO expert?)
  • শেষ কথা

এসইও কি? (what is SEO?):

এসইও (SEO) শব্দটির পূর্ণরুপ “Search engine optimization” খুবই সহজ করে বলতে গেলে, যে প্রযুক্তিগত কৌশলের কারণে কোন সার্চ ইঞ্জিন যেমন: গুগল (Google), মাইক্রোসফট বিং (Microsoft bing),ইয়াহু (Yahoo),  ইয়ানডেক্স (Yandex) ইত্যাদি; কোন কন্টেন্টকে তাদের লিস্টের প্রথমে দেখায়, সেই কারণ কিংবা পদ্ধতিকে বলা হয় এসইও (SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

বর্তমান যুগ তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। বর্তমানে  তাৎক্ষণিকভাবে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুসন্ধানের জন্য আস্থা এবং বিশ্বাসযোগ্য জায়গা তৈরি করে নিয়েছে বিভিন্ন ওয়েব সার্চ ইঞ্জিনগুলো (Web search engine)। ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব ডিজাইনারসহ যেকোন ইন্টারনেট ইউজারের কাছে গুগলের মতো বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এখনকার দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

কোন ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলকে  র‍্যাংক করাতে বা সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টের প্রথমে দেখাতে যে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে হয়, সেগুলোর সমন্বয়কেই মূলত এসইও (SEO) বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলা হয়।

এসইও এর প্রকারভেদ (Types of SEO)

এসইও মূলত তিন প্রকার। এগুলো হলো :

  1. অন পেইজ এসইও (On page SEO)
  2. অফ পেইজ এসইও (Off page SEO)
  3. টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)

অন পেইজ এসইও ( On page SEO): উন্নত মানের কন্টেন্ট তৈরি, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ইন্টারনাল ও আউটবাউন্ড লিংকিং থেকে শুরু করে একটি ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ সব ধরনের কাজসমূহকে “অন পেইজ এসইও” বলা হয়।

“অন পেইজ এসইও” এর আবার কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে, যেগুলো আপনারা এ বিষয় নিয়ে খানিকটা রিসার্চ করলেই জানতে পারবেন। 

অফ পেইজ এসইও (Off page SEO): “অফ পেইজ এসইও” কথাটি শুনেই হয়তো বুঝে গিয়েছেন যে এটি ওয়েবসাইটের বাইরের কাজকে বোঝানো হয়েছে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে সুন্দর করে সাজানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে আপনার ওয়েবসাইটটিকে একটি ভালো পরিচিতি দিতে পারেন তাহলে এখান থেকে আপনার একটি ব্র্যান্ডিং তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলশ্রুতিতে আপনি কিছু ট্রাফিক পেতে পারেন যা আপনার ওয়েবসাইটকে “SERP” বা সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজের প্রথমদিকে শো করাতে সাহায্য করবে। 

সহজ ভাষায়, ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে  বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে নিজের সাইট লিংকিং করে ভিজিটর আনাকে “অফ পেইজ এসইও” বলা হয়।

টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO):

এসইও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরি হলো টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO) বা প্রযুক্তিগত এসইও। সাইটের মানসম্মত ও নজরকাড়া ডিজাইন, সাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করা, ওয়েবসাইটের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ত্রুটির সমাধান, কোডিং এই “টেকনিক্যাল এসইও” (Technical SEO) এর আওতায় পড়ে। যেকোনো ওয়েবসাইট এবং কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করাতে টেকনিক্যাল এসইও সবচেয়ে বেশি কাজ করে থাকে।  

এসইও টার্মস (SEO terms):

প্রতিটি সেবা প্রদানকারী ইন্ডাস্ট্রিরই কিছু নির্দিষ্ট টার্মস বা শর্তাবলী থাকে। একইভাবে এসইও এর শতাধিক টার্মস রয়েছে। একজন এসইও এক্সপার্ট হতে হলে শুরুতেই আপনাকে এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ টার্মগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।

এ অংশে আমরা এসইও এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্ম সম্পর্কে জানতে পারবো যা আপনার এসইও শেখার ক্ষেত্রে শুরুতেই জানা প্রয়োজন।

সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন ও নীতিমালার উপর ভিত্তি করে এসইওকে দুইভাগে ভাগ করা যায়।

  1. হোয়াইট হ্যাট এসইও (White hat SEO)
  2. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black hat SEO) 

নিয়ম ও নীতিমালার দিক থেকে বিবেচনা করলে সব ধরনের এসইও এই দুই ক্যাটাগরির এসইও এর অন্তর্ভুক্ত। চলুন জেনে নেই এই দুই ক্যাটাগরির এসইও সম্পর্কে। 

হোয়াইট হ্যাট এসইও (White hat SEO):

একটি সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নির্দিষ্ট গাইডলাইন বা নীতিমালা থাকে। সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন ও নীতিমালা না ভেঙে অপটিমাইজেশন করাকে “হোয়াইট হ্যাট এসইও”  বলা হয়।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black hat SEO):

ব্ল্যাক শব্দটি শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি দ্বারা কি বোঝানো হচ্ছে? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। এটি হোয়াইট হ্যাট এসইও এর সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ কোনো সার্চ ইঞ্জিনের নীতিমালা ভঙ্গ করে কোন সাইট বা পেজ অপ্টিমাইজ করাকে “ব্ল্যাক হ্যাট এসইও” বলা হয়।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক কিছু গুরুত্বপূর্ণ এসইও টার্ম সম্পর্কে।

ব্যাকলিংক (backlink): 

অধিকাংশ এসইও এক্সপার্টদের ভাষ্য অনুযায়ী গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে কোন ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করানোর জন্য সবচেয়ে বেস্ট ফ্যাক্টর হচ্ছে “ব্যাকলিংক”। ব্যাকলিংককে এসইও এর প্রাণও বলা হয়ে থাকে। “ব্যাকলিংক” মূলত “অফ পেইজ এসইও” এর আওতাভুক্ত। একটি ওয়েবসাইট বা পেজের সাথে অন্য একটি ওয়েব সাইটের লিংকিংকেই “ব্যাকলিংক” বলা হয়। 

উদাহরনসরুপ বলা যায়, ধরুন আপনি গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখেছেন। অন্য একটি সাইটে অক্সিজেনের গুরুত্ব সম্পর্কিত একটি আর্টিকেলের কোনো জায়গায় ওয়েবসাইট ওনার আপনার কন্টেন্টটির লিংক যুক্ত করে দিলেন। এবার কোন ভিজিটর সেই ওয়েবপেইজ থেকে আপনার সাইটে বা কন্টেন্টটিতে খুব সহজেই আসতে পারবে, আর এটিই মূলত আপনার জন্য “ব্যাকলিংক”। 

ব্যাকলিংককে ইনকামিং লিংক বা ইনবাউন্ড লিংকও বলা হয়ে থাকে। ব্যাকলিংক সাধারণত দুই প্রকার। ইন্টারনাল লিংক(Internal link) ও এক্সটার্নাল লিংক(External link).

কিওয়ার্ড স্টাফিং (Keyword stuffing) :

কোনো সাইটের অপটিমাইজেশনের উদ্দেশ্য, কোনো ভিজিটর্স একটি সার্চ ইঞ্জিনে একটি বিষয়ে ঠিক যে ধরনের কিওয়ার্ড সার্চ করতে পারে ঠিক সে ধরনের কিওয়ার্ড একটি কন্টেন্টে রাখা জরুরী। তবে এই কিওয়ার্ড যখন ভিজিটর্সদের কথা না ভেবে শুধুমাত্র কোন কন্টেন্টকে র‍্যাংক করানোর উদ্দেশ্য অপ্রাসঙ্গিক ও অযৌক্তিকভাবে ব্যবহার করা হয় তখন তাকে “কিওয়ার্ড স্টাফিং” বা “কিওয়ার্ড লোডিং” বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিন যদি কোনোভাবে বুঝতে পারে এধরণের সাইটকে শাস্তি প্রদানস্বরুপ কিক আউট বা ব্যান করে দিতে পারে।

লিংক ফার্ম (Link farm):

লিংক ফার্ম হচ্ছে কিছু ওয়েবসাইটের একটি গ্রুপ যারা একে অপরকে ব্যাকলিংক প্রদান করে। এতে করে প্রতিটি সাইটই লাভবান হয় এবং একটি ভালো ফলাফল পায়। তবে এই ধরনের এসইও যেহেতু নীতিমালা ভঙ্গ করে তাই সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারলে এই ধরনের সাইটগুলোকে স্প্যামডেক্সিং হিসেবে গননা করতে পারে। ফলশ্রুতিতে সাইটকে পরবর্তীতে র‍্যাংক করানো কঠিন হয়ে পড়ে। 

ক্লকিং (Cloaking):

ক্লকিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন রোবট ও ইউজারদেরকে আলাদা-আলাদা কন্টেন্ট প্রদর্শন করা হয়। এটি “ব্ল্যাক হ্যাট এসইও” এর একটি কৌশল। যা সার্চ ইঞ্জিনের নীতিমালা অনুযায়ী ইলিগ্যাল। 

পেজ লোডিং স্পিড (Page loading speed):

আপনার ওয়েবসাইট যদি স্লো কাজ করে তাহলে ভিজিটর আপনার সাইটে খুব বেশিক্ষণ অবস্থান করবেনা এটাই স্বাভাবিক। ওয়েবসাইটকে “SERP” (সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ) এ প্রথমে দেখাতে সাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। বর্তমানে বিভিন্ন জনপ্রিয় স্পিড চেকিং টুলস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইট স্পিড খুব সহজেই চেক করতে পারেন।

কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট (Qualityful content):

একটি আর্টিকেলকে অবশ্যই কোয়ালিটিফুল বা মানসম্মত হওয়া প্রয়োজন। একটি কন্টেন্ট যদি ভিজিটর ফ্রেন্ডলি না হয় তবে ইউজার আপনার সাইটে এসে একটি নেগেটিভ ফিডব্যাক নিয়ে বের হতে পারে যা আপনার সাইটের জন্য ক্ষতিকারক। এজন্য লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার কন্টেন্টটি যেন যথেষ্ট পরিমানে তথ্যবহুল হয়, ইউজার যেন তার কাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো সহজেই জানতে ও বুঝতে পারে।

এগুলো ছাড়াও সার্চ ইঞ্জিনের আরো শতাধিক টার্ম রয়েছে যা একটি আর্টিকেলে উল্লেখ করা অসম্ভব। তবে আমি এখানে এমনকিছু টার্ম সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি যেগুলো আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন মনে হয়েছে।

পেইড এসইও এবং অর্গানিক এসইও এর ধারণা (Concept of paid and organic SEO):

সার্চ ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদানের মাধ্যমে তাদের সার্চ রেজাল্ট পেইজের প্রথমে আসাকেই পেইড এসইও (Paid SEO) বলা হয়।

অন্যদিকে এসইও এর নিয়মনীতির যথাযথ ব্যাবহারের মাধ্যমে একটি সাইটকে “SERP” এর প্রথমদিকে নিয়ে আসাকে অর্গানিক এসইও (Organic SEO) বলা হয়।

কেন এসইওতে দক্ষ হবেন? (Why be proficient in SEO):

এসইও ফ্রিল্যান্সিং এর এমন একটি সেক্টর যার চাহিদা দিন-দিন বেড়েই চলেছে। ফাইভার, আপওয়ার্ক এর মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে চোখ বুলালেই আপনি এটি খুব সহজে বুঝতে পারবেন। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়টি জানতে হবে সেটিই হলো “এসইও (SEO)” বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। 

এসইও শিখে আপনি নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়া একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে যেকোনো কোম্পানিতে অনলাইন ও অফলাইন  জব করতে পারেন। এসইও শিখে আপনি নিজের এফিলিয়েট সাইট তৈরি করেও ইনকাম করতে পারেন। মোটকথা এই যে, আপনি এসইও শিখে আপনার একটি ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারেন।

একজন এসইও এক্সপার্ট হতে হলে কী কী করা প্রয়োজন? (Things to follow to become an SEO expert) :

কোনোকিছু শেখার জন্য প্রথমেই যে জিনিসটি অত্যন্ত প্রয়োজন তা হলো শেখার অদম্য ইচ্ছা ও অধ্যাবসায়। তাই প্রথমেই বলে রাখি, আপনি যদি ভেবে থাকেন যে খুব সহজেই মাত্র অল্প কয়েকদিনে আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন তাহলে এই সেক্টর আপনার জন্য নয়। তাই বলে হতাশ হবেন না। সঠিক গাইডলাইন নিয়ে এগোলে আপনার পক্ষেও এটা সম্ভব। একজন এসইও স্পেশালিষ্ট হতে হলে আপনাকে ক্রমাগত এই বিষয়ে রিসার্চ চালিয়ে যেতে হবে, এসইও এর সমস্ত খুঁটিনাটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে এবং পাশাপাশি কাজ করে চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। 

কোথায় এসইও (SEO) শিখব?

এসইও শেখার ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন আর্টিকেল, ইউটিউব ভিডিওর হেল্প নিতে পারেন। এছাড়া অনেক অনলাইন কোম্পানি রয়েছে যারা ভালো মানের পেইড কোর্স দিয়ে থাকেন।
এসইও (SEO) শেখার জন্য সবথেকে ভালো অনলাইন প্লাটফর্ম হচ্ছে ডিজিটোনিকা ফ্রিল্যান্স একাডেমি৷ তাদের কোর্স সবথেকে আপডেট এবং প্রাকটিসে পরিপূর্ণ। আপনি চাইলে তাদের থেকে শিখতে পারেন। যদি আপনি এসইও শেখার জন্য একটি বিশ্বস্ত ও কার্যকরী অনলাইন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করে থাকেন তাহলে আপনি  “DIGITONICA FREELANCE ACADEMY” এর এসইও কোর্সটি আপনার চয়েজে রাখতে পারেন। আশা করছি খুব ভালো একটি ফলাফল পাবেন।

তবে শুধুমাত্র কিন্তু শিখে গেলেই হবেনা, আপনাকে আপনার শিক্ষনীয় বিষয়গুলোকে প্র‍্যাক্টিকালি এপ্লাই করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনার শিক্ষনীয় বিষয়বস্তুগুলো এপ্লাই করতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার অগ্রগতিও যাচাই করতে পারবেন। আর যদি সফল হয়ে যান তবে পরবর্তীতে এটিকে আপনার কাজের পোর্টফলিও হিসেবে ব্যবহার করে মার্কেটপ্লেসে ভালো কাজ পেতে পারেন।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক, এসইও (SEO) এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর যার বিস্তারিত শুধুমাত্র একটি আর্টিকেলে আলোচনা করা সম্ভব নয়। তবে আমি চেষ্টা করেছি এসইও (SEO) সম্পর্কে যে বিষয়গুলো একজন পাঠকের জন্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে। আর্টিকেলটি অনেকের উপকারে আসবে বলে আশা রাখছি।

4 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Ahad

Well explain 🫶